রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলকল দোকানে ভ্র্যাম্যমান আদালত কর্তৃক অর্থ জরিমানা করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

এসএম মশিউর রহমান সরকার, বালিয়াডাঙ্গী(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন ও বিপনন ব্যবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদ্বয় কর্তৃক তথ্য রাষ্ট্রের আদেশ অব্যাহত রাখার, আদেশ অমান্য করিয়া আমার জলকল মেশিনারীজ দোকানে অন্যায়ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক জরিমানা করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ২৪ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১১টায় মেসার্স জলকল মেশিনারীজ দোকানে স্বতাধিকারী মোঃ বজলুর রহমান তার নিজ কার্যালয়ে বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন  সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তিনি তার লেখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, আমি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চৌরাস্থা কাঁচা বাজার সংলগ্ন মেইন রোডে কৃষি যন্ত্রপাতি, সেচ ও যন্ত্রাংশ বিক্রয়ের জন্য আমার  মেসার্স জলকল মেশিনারীজ নামে এবটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে ইরি, বোরো, ভুট্রা, মরিচ, ইত্যাদি চাষাবাদের মৌসুম চলছে। সারাদেশে করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদনে যন্ত্রপাতি ও বিপনন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশে সেচ যন্ত্রসহ সকল কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা এবং ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের জেলা ও উপজেলা কার্য়লয়ের কর্মকর্তাগণ আমাদের ব্যবসায়িদের ৭ফর্দের প্রজ্ঞাপনের চিঠি দিয়েছেন। যাহা কৃষি মন্ত্রণালয় প্রশাসন-২ অধিশাখার স্মারক নং- ১২.০০.০০০০.০২০.৯৯.০৩৯.২০.৩৮১.তারিখ:৩১মার্চ-২০২০ ও কৃষি মন্ত্রণালয় প্রশাসন-৫ অধিশাখার স্মারক ১২.০০.০০০০.০২৪.৯৯.০১০.১৮.১০ তারিখ:০৬ এপ্রিল-২০২০এবং কৃষি মন্ত্রণালয় প্রশাসন-৫ অধিশাখার স্মার নং-১২.০০.০০০০.০২৪.৯৯.০১০.১৮.১৩ তারিখ:০৯ এপ্রিল,২০২০। সেই আলোকে আমি স্বাস্থ্যবিধির সকল নিয়ম কানুন মানিয়া সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখিয়া সীমিত পরিসরে সেচযন্ত্র সহ সকল কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য খোলা রাখি। ফলে গত ২২ এপ্রিল রোজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫ হাজার টাকা এবং গত ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে ২ হাজার মোট ৭ হাজার টাকা আমার মেসার্স জলকল মেশিনারীজ কৃষি যন্ত্রপাতির দোকানে অণ্যায় ভাবে জরিমানা করেন। ওই সময় ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনা কারি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া ৭ ফর্দের প্রজ্ঞাপনের আদেশটি দেখানো সত্বেও সংযুক্ত প্রজ্ঞাপন গুলি আমার হাত থেকে ছিনাইয়া লইয়া প্রকাশ্যে জনগনের সামনে ছিড়িয়া ফেলে দেন। উপরোক্ত ঘটনাটির কারণে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ এলাকার সাধারণ কৃষকরা কৃষি যন্ত্রাংশের উপকরণ না পাওয়ায় কৃষি কাজে মারাত্বক ব্যাঘাত ঘটছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের আবাদি এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। এমন আহবান করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি কৃষককে। সে কারণে সরকারের নির্বাহী ও মাননিয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের বাঁচার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যলয় থেকে আমাদের ব্যবসায়ীকদের সরকারের নির্দেশনাবলী ও  প্রজ্ঞাপনের  কপিও সরবরাহ করেছেন।
সরকারের নির্দেশ থাকা সত্বেও চরম অসদাচরণ করেন এবং কি কারণে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অন্যায় ভাবে আমার মেসার্স জলকল মেশিনারীজ কৃষি যন্ত্রপাতির দোকানে অর্থ জরিমানা করেন। ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী  নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণের বিরুদ্ধে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের দৈনিক জাতীয় ও স্থানিয় এবং অনলাইন পত্র-পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি। এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সহকারী কমিশনার(ভুমি)ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রব্বানী সরদার জানান, গত ২২এপ্রিল বুধবার  জলকল মেশিনারীজ দোকানে বেশকিছু লোক ওয়েলডিংয়ের কাজ করছিলেন। সে কারণে আমি ৫ হাজার টাকা জরিমানা করি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া ৭ ফর্দের আদেশের প্রজ্ঞাপনের কাগজ ছিড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে কোনো প্রকার কাগজ দেখাননি বা আমি উক্ত কাগজাদি ছিড়ি নাই। এটি সর্ম্পুন্ন মিথ্যা কথা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খায়রুল আলম সুমন জানান, আমি গত ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় মেসার্স জলকল মেশিনারীজ দোকানে কোনো প্রকার কৃষি পণ্যের মালামাল পাওয়া যায়নি এবং সেদিন রাত ৮টায় পর্যন্ত দোকান খোলা রেখেছিলেন। সে সময় তার ওয়েলডিং মেশিনের দোকানের অন্তত ৪ থেকে ৫ জন লোক কাজ করছিলেন। ওয়েলডিং মেশিনের কাজ করার জন্য দোকান মালিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর